বায়োস (BIOS) কি? এবং বায়োস (BIOS) এর পূরনোরূপ ও কাজ।

বায়োস (BIOS) শব্দটি মূলতঃ ১৯৭৫ সালে গ্যারী কিল্ড্যাল একজন মারকিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী উদ্ভাবন করেন। এটি ১৯৮১ আই বি এম এর আসল পিসিতে যুক্ত হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজে অবাক যন্ত্র কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করতে পারি না। বলুনতো কম্পিউটার বাদ দিয়ে কি কোন কাজ করবার কথা ভাবা যাবে। তাই বলা যায় অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড এবং দোকানপাঠ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

বায়োস (BIOS)

সূচীপত্রঃ  বায়োস (BIOS) 

 

 

বায়োস (BIOS) কি?

বায়োস কোন নিদিষ্ট কোম্পানির প্রোগ্রাম যা একটি চিপসে ইনস্টল করা থাকে। আমরা যা কমান্ড করি সেগুলি সে নিয়ন্ত্রণ করে। কম্পিউটার অন, অফ এবং উইন্ডোজ রান ইত্যাদি। বায়োসের প্রোগ্রাম ইচ্ছা করলেই পরিবরতন করা যায় না, বরং এটিকে আপডেট করা যায় শুধু। এটি আবার বুট এবং সময়কে বিয়ন্ত্রণ করে। উইন্ডোজ ইস্টল করার সময় বুট এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বায়োস ছাড়া উইন্ডোজ ইন্সটল করা সম্ভব নয়। জেনে রাখা দরকার ল্যাপ্টপ ও ডেস্কটপে অন্যান্য সকল ধরনের পিসিতে বয়োস বিদ্যমান। কম্পিউটারে যদি কোন ত্রুটি দেখা দেয় তবে বায়োস তা জানান দেয়। এ থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, কি ধরনের সমস্যা হয়েছে তা বুঝা যায়। এর মাধ্যমে কম্পিউটারের ডিভাইস গুলোকে ইচ্ছামত ডিজেবল এবং এ্যনাবল করা সম্ভব।

বায়োস (BIOS) এর পূরণরুপ কি?

বায়োস (BIOS) এর পুরনরুপ : Basic Input Output System আসলে এটি মাদারবোরডের মেইন মেনু।

বায়োস (BIOS) এর প্রধান কাজ কি?

বায়োস (BIOS) বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম । বায়োস কম্পিউটারের প্রতিটি ডিভাইসের সংগে স্থাপন করে, প্রতিবার কম্পিউটার অন করবার সময় ইলেকট্রিক সঙ্কেত পেয়ে সাধারনত বায়োস কাজ করে। কম্পিউটার চালু হওয়ার পুরবে বায়োস সকল কিছু পরীক্ষা নেয় এবং উপস্থিত সকল ডিভাইসের এক্সেস দেয় এবং কম্পিঊটার চালু হয়।

বায়োস (BIOS) কয় ধরনের / কত প্রকার হয় কি কি? 

 

সাধারনভাবে আমরা সচারচর যে সকল বায়োস (BIOS) দেখতে পাই তা নিম্নরূপ। যথাঃ

 

 

  • লেগাসি বায়োস (Legacy (Old) BIOS)
  • ই এফ আই (EFI BIOS)
  • ইউ ই এফ আই (UEFI BIOS)
  • ম্যাক পি সিস অ্যাপেল একত্রে (Mac PC’s Apple BIOS)

 

বায়োসে প্রবেশ করব কিভাবে?

কম্পিউটার অপেন হবার পুরবে মনিটরের স্ক্রিনে del, F2, F12 ইত্যাদি key এর ইন্সট্রাকশন থাকে এ গুলোতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে চাপলে আমরা বায়োস মোডে চলে যাব।

বায়োস (BIOS) প্রোগ্রাম সমস্যা হলে কিভাবে প্রোগ্রাম ইনস্টল করতে হয়?   

প্রথমতঃ যে চিপসে বায়োস (BIOS) প্রোগ্রাম ইনস্টল করা হয়, সেটি মাদারবোরড সঙ্গে যুক্ত থাকে। প্রথমতঃ আমাদের প্রোগ্রামটি পেতে হবে, এটি মেইনবোরড ও এর ভারসন দিয়ে google এ সারচ করলে ওই মেইনবোরডের প্রোগ্রামটি পেয়ে যাব। এখন আসাযাক কিভাবে বায়োস (BIOS) চিপ্সে কিভাবে প্রোগ্রাম ইন্সটল করা যায়? প্রথমতঃ মেইনবোরড হতে চিপ্সটি উঠিয়ে নিতে হবে, এবং এরপর বায়োস (BIOS) লোড করার জন্য একটি সারকিট সম্বলিত একটি ডিভাইস রয়েছে যেটি উ এস বি পোরট সম্বলিত। এর সকেট এর সঙ্গে সংযুক্ত করে কম্পিউটার হতে আপলোড করা ডেটাটি বায়োস (BIOS) এ ইন্সটল করতে হয়। সাধারনত বায়োস (BIOS) এ এভাবেই সফটওয়ার ইন্সটল করা হয়।  এবং ইন্সটল করবার পর মেইনবোরডের যথা স্থানে আবার চিপ্সটি বসিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান ।

বায়োস (BIOS) হতে বুট কিভাবে করতে হয়?

windows উইনডোজ ইন্সটল করবার সময় বুট করতে হয়। প্রথমত কম্পিউটার উইন্ডোজ দেবার পূরবে বুটেবল পেনড্রাইভ বা সিডি / ডিভিডি প্রয়োজন কিন্তু  বরতমানে পেন ড্রাইভ এর মাধ্যমে বুট করে উইন্ডোজ ইন্সটল করা হচ্ছে। বুটেবল পেন্ড্রাইভটি কম্পিউটার এর উ এস বি তে প্রবেশ করিয়ে রিস্টারট করলে বায়োস (BIOS) এর মাধ্যমে বুটেবল পেন ড্রাইভটি খুজে পায় এবং উইন্ডোজ ইন্সটল শুরু হয়। এভাবেই কম্পিউটারে উইন্ডোজ ইন্সটল করা হয়।

সময়েক নিয়ন্ত্রণঃ

কম্পিউটারে আমরা যে সময় দেখি সেটি আসলে নিয়ন্ত্রণ করে বায়োস (BIOS)। সময় যদি সঠিক না দেখায় তবে সেটে বায়োস (BIOS) থেকে এডিট করা বা ঠিক করা যায়।

সি পি উ ফ্যানঃ

সি পি উ ফ্যান এর গতিকে বারানো বা কমানোর জন্য বায়োস (BIOS) এ প্রবেশ করতে হয়।

 

আরো পড়ুনঃ র‍্যাম (Ram) কি? র‍্যাম (Ram)এর কাজ ও প্রকারভেদ । 

 

বলতে গেলে বলা যায়, বায়োস (BIOS) ছাড়া কম্পিউটার অচল। কারন এটি ছাড়া বুট সম্ভব নয়, উইন্ডোজ দেওয়া ও সম্ভব নয়, সে কারনে কম্পিউটার চলাও সম্ভব নয়। আমরা আশা করবো দিনে দিনে এর আরও প্রসার ঘটুক । এবং মানুষ এর থেকে আরো উপকার পাক। কম্পিউটারের উত্তর উত্তর উন্নতির আপেক্ষায় রইলাম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top